সেরা 3D অ্যানিমেশন সফটওয়্যার কোনটি ? আপনার ক্যারিয়ারের জন্য কোন 3D অ্যানিমেশন সফটওয়্যার টি শিখবেন ?
– Arif Mahmud Riad


–
3D অ্যানিমেশনের দুনিয়ায় অনেক গুলি 3D সফটওয়্যার রয়েছে যারা খুবই প্রফেশনাল ও শক্তিশালী। এর মধ্যে বলা যায় 3Ds max, Maya, Houdini , Cinema 4D এবং Blender অন্যতম। এখন প্রশ্ন হলো কোন সফটওয়্যারটি আপনি শিখবেন?
যদি বলা হয় কোন 3D সফটওয়্যার টি সেরা, তাহলে বলতে হবে সুনিদ্দিষ্ট ভাবে এই প্রশ্নের উত্তর দেয়াটা কঠিন। কারণ প্রতিটি 3D অ্যানিমেশন সফটওয়্যার আলাদা আলাদা সেক্টর ও ওয়ার্কফ্লো নিয়ে কাজ করে। তাই আমি যদি আলোচনা করি কোন সফটওয়্যার কোন সেক্টর নিয়ে কাজ করে এবং তাদের সক্ষমতা ও দুর্বলতা কি কি তাহলে আপনারাই বুঝতে পারবেন, আপনার জন্য কোন সফটওয়্যারটি সেরা।

3DS MAX (3D Studio Max ) – ৯০ দশকের শুরুতে Autodesk কোম্পানি 3DS MAX বাজারে নিয়ে আসে। 3DS MAX মূলত আর্কিটেকচার,মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রোডাক্ট ডিজানিং, অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রি এবং AutoCAD সফটওয়্যার সাথে সমন্বয় করে কাজ করার জন্য তৈরী করা হয়।
তাই আপনি যদি ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরে 3D ডিজাইন ও অ্যানিমেশন করতে চান তাহলে 3DS MAX আপনার জন্য সেরা।
MAYA – ৯০ দশকের পরে Ilyas System কর্তৃক MAYA সফটওয়্যার টি ডেভলোপ করা হয় । কিন্তু ২০০৫ সালে Autodesk কোম্পানি MAYA সফটওয়্যারটি কিনে নেয়।
MAYA মূলত ফিল্ম মেকিং ইন্ডাস্ট্রির ,ভিজ্যুয়াল এফেক্টের জন্য তৈরী করা হয়। ভিজ্যুয়াল এফেক্টের কাজ করার জন্য MAYA তে খুব শক্তিশালী অ্যানিমেশন ওয়ার্ক প্যানেল রয়েছে। এছাড়াও এর tool গুলি ভিজ্যুয়াল এফেক্ট ফ্রেন্ডলি।
MAYA দিয়ে Avengers: Infinity War, Spider-Man: Into the Spider-Verse, Guardians of the Galaxy, Pacific Rim, Transformers, Star Wars, Jurassic Park এই রকম অনেক জনপ্রিয় ফিল্মের ভিজ্যুয়াল এফেক্টের কাজ করা হয়েছে।
ফিল্ম মেকিং ও ভিজ্যুয়াল এফেক্টের জন্য, MAYA কে আপনি বেছে নিতে পারেন।
Houdini – Houdini মূলত MAYA মতো ভিজ্যুয়াল এফেক্টের জন্য তৈরী করা হয়েছে। কিন্তু Houdini কিছু স্পেশাল ভিজ্যুয়াল এফেক্ট তৈরির জন্য খুব বেশি জনপ্রিয়। যেমন কোনো কিছু ধ্বংস বা বিস্ফোরণ , পানির স্রোত তৈরী, আগুনের ইফেক্ট, কোনো কিছু ভাগ করা বা ধ্বংস করা ইত্যাদি।
Houdini দিয়ে Frozen 2 , The Lion King, Captain Marvel , Spider-Man: Far From Home, Toy Story 4 , Ant-Man and The Wasp , Game of Thrones মতো প্রজেক্টটে ভিজ্যুয়াল এফেক্টের কাজ করা হয়েছে।


–
Cinema 4D– Cinema 4D মূলত Maxon কর্তৃক ১৯৯০ সালে আত্মপ্রকাশ করে। মোশন গ্রাফিক্স, অ্যাবস্ট্রাক্ট আর্ট, অ্যানিমেশন ও প্রোডাক্ট ডিসাইন কে লক্ষ্য করে Cinema 4D তৈরী করা হয়। Cinema 4D তে Mograph এর মতো শক্তিশালী প্ল্যাগিং ইন্ট্রিগেট করা আছে।
অ্যাবস্ট্রাক্ট ও মোশন গ্রাফিক্সের জন্য Cinema 4D খুবই জনপ্রিয়। প্রোডাক্ট ও আডভার্টাইসিং ইন্ডাট্রিতে এর অবদান অতুলনীয়।
Blender -Blender কে 3D অ্যানিমেশন দুনিয়াতে নতুন প্লেয়ার বলা যায়। Blender একটি ওপেন সোর্স প্রোগ্রাম। যে কেউ ফ্রি Blender কে ব্যবহার করতে পারবে। এটি দিয়ে ফ্লাইড সিমুলেশন থেকে শুরু করে অ্যানিমেশন সবই করা যায়।
কিন্তু Blender একটি বড় সমস্যা হলো এটি অ্যানিমেশন দুনিয়াতে নতুন বলে এর গ্রহণ যোগ্যতা কম অথাৎ বেশির ভাগ ফ্লিম ষ্টুডিও থেকে শুরু করে ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট ষ্টুডিও 3Ds max, Maya, Houdini , Cinema 4D নিয়ে কাজ করে তাই Blender দিয়ে করা কাজের ফাইল ফরমেট তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
কিন্তু এই সমস্যাটি হয়তো বেশি দিন থাকবে না আস্তে আস্তে Blender 3D অ্যানিমেশন দুনিয়ায় জায়গা করে নিবে।
প্রতিটি 3D সফটওয়্যার ভিন্ন ভিন্ন কাজের ধরণ আছে তাই আপনার সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি কি নিয়ে কাজ করতে চান, তার উপর ভিত্তি করে 3D সফটওয়্যার শিখতে পারেন।
সময় উপযোগী বেশ ভালো লেখা৷ তবে প্রতিটা অ্যাপ্লিকেশান আরেকটু বর্ননামূলক হলে সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হত৷ আশাকরবো পরবর্তীতে আরো বিস্তারিত লেখা পাবো৷ ধন্যবাদ